দেশে এক বছরে খাদ্যপণ্যে ব্যয় বেড়েছে ৩৩ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক

দেশে এক বছরে খাদ্যপণ্যে ব্যয় বেড়েছে ৩৩ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক

অনলাইন ডেস্ক: বছর জুড়েই উচ্চমূল্যস্ফীতি রয়েছে বাংলাদেশে। বিগত এক বছরের ব্যবধানে খাদ্যপণ্যের দাম গড়ে ৩৩ শতাংশ বেড়েছে। বিশ্বব্যাংকের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাবে দরিদ্র্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। ফলে খাদ্যের জন্য দরিদ্র্য মানুষের ব্যয় বেড়েছে।


সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের খাদ্যনিরাপত্তা-বিষয়ক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। তবে শুধু বাংলাদেশই নয়, বিশ্বের নিম্ন, মধ্য বা উচ্চ আয়ের প্রায় সব দেশেই উচ্চ মূল্যস্ফীতি চলছে। বাংলাদেশে সরকারি হিসাবে এপ্রিলে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ, মার্চে যা ছিল ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।


বিশ্বব্যাংক তথ্য বিশ্লেষণ করে বলেছে, ২০২২ সালের মে মাসেও দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ৮ দশমিক ৩ শতাংশ ছিল। এর পর ধারাবাহিকভাবে পাঁচ মাস বৃদ্ধি পেয়েছে। পরের চার মাস কিছুটা কমলেও এই হার ৮ শতাংশের আশপাশেই ছিল।


বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মূল্যস্ফীতির তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্তত ৫৮টি দেশের ২৫ কোটি ৮০ লাখ মানুষ উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাবে খারাপ পরিস্থিতি পার করছে। বিশেষ করে আফ্রিকা, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো, দক্ষিণ এশিয়া, মধ্য ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলো বেশি ভুগছে। তবে আশার দিকও রয়েছে। বিশ্ববাজারে খাদ্যের দাম কমতির দিকে। ভুট্টা এবং গমের দাম যথাক্রমে ১৪ ও ১১ শতাংশ কমেছে। তবে চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় সবচেয়ে বেশি মানুষ রয়েছে এমন দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তান, বারকিনা ফাসো, হাইতি, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, ইয়েমেন রয়েছে।


বিশ্বব্যাংকের বিশ্লেষণ অনুযায়ী খাদ্য মূল্যস্ফীতির শীর্ষ দেশ এখন লেবানন। দেশটির খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ৩৫২ শতাংশ। এরপর আর্জেন্টিনা ১০৭ শতাংশ, জিম্বাবুয়ে ১০২ শতাংশ, ইরান ৭৩ শতাংশ, তুরস্ক ৬৭ শতাংশ, মিশর ৬৩ শতাংশ, রুয়ান্ডা ৬৩ শতাংশ, সুরিনাম ৫৯ শতাংশ এবং লাও ও ঘানার ৫১ শতাংশ।

editor

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *