জলবায়ু নরকের মহাসড়কে বিশ্ব
দেওয়ানবাগ ডেস্ক: মিসরের শারম-আল-শেখে শুরু হয়েছে ঐতিহাসিক জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৭। রাজধানী কায়রোতে সম্মেলনে অংশ নিয়ে গত রবিবার জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, ‘বিশ্ব এখন জলবায়ু নরকের মহাসড়কে অবস্থান করছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, আর কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের বিশ্বের জনসংখ্যা নতুন সীমা অতিক্রম করবে। আমাদের সদস্য সংখ্যা ৮ বিলিয়ন হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, যে শিশুটি আসছে তাকে কী বলব? যখন জিজ্ঞেস করবে আমরা পৃথিবীর জন্য কী করেছি? আমরা আমাদের জীবনের সঙ্গে লড়াই করছি আর হেরে যাচ্ছি। বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। আমরা যে শঙ্কা করছি ওই বিন্দুর দিকেই যাচ্ছি।
জলবায়ু সম্মেলনে সেনেগাল এবং আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সল, মিসরের প্রেসিডেন্ট সিসি, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁসহ অনেকে এরই মধ্যে যোগ দিয়েছেন। এবারের সম্মেলনে ১৯০টির বেশি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনের সবাই জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলায় নিজেদের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরছেন।
উদ্বোধনী দিনে কপ-২৭ এর প্রেসিডেন্ট ও মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শুকরি বলেন, রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসনের ফলে খাদ্য ও জ্বালানির সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকাতে সবাইকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘শারম-আল-শেখে এটা আমাদের সবার অন্তর্নিহিত বিষয় হচ্ছে- আমরা যে চ্যালেঞ্জগুলোর সম্মুখীন হচ্ছি, তার ব্যাপকতা সম্পর্কে আমাদের সমঝোতা এবং এটিকে কাটিয়ে উঠতে দৃঢ় সংকল্প নিতে হবে।’
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত আবহাওয়া বিপর্যয় বন্যা ও ভূমিধসে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। পাকিস্তান এবং নাইজেরিয়ায় ব্যাপক বন্যা, আফ্রিকা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলে তীব্র খরা, ক্যারিবীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় এবং তিন মহাদেশজুড়ে নজিরবিহীন তাপপ্রবাহ বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, এই প্রান্তিকের বাইরে উষ্ণায়ন হলে তা পৃথিবীকে বসবাসের অযোগ্য একটি হটহাউসের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
দেওয়ানবাগ ডেস্ক: মিসরের শারম-আল-শেখে শুরু হয়েছে ঐতিহাসিক জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৭। রাজধানী কায়রোতে সম্মেলনে অংশ নিয়ে গত রবিবার জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, ‘বিশ্ব এখন জলবায়ু নরকের মহাসড়কে অবস্থান করছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, আর কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের বিশ্বের জনসংখ্যা নতুন সীমা অতিক্রম করবে। আমাদের সদস্য সংখ্যা ৮ বিলিয়ন হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, যে শিশুটি আসছে তাকে কী বলব? যখন জিজ্ঞেস করবে আমরা পৃথিবীর জন্য কী করেছি? আমরা আমাদের জীবনের সঙ্গে লড়াই করছি আর হেরে যাচ্ছি। বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। আমরা যে শঙ্কা করছি ওই বিন্দুর দিকেই যাচ্ছি।
জলবায়ু সম্মেলনে সেনেগাল এবং আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সল, মিসরের প্রেসিডেন্ট সিসি, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁসহ অনেকে এরই মধ্যে যোগ দিয়েছেন। এবারের সম্মেলনে ১৯০টির বেশি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনের সবাই জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলায় নিজেদের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরছেন।
উদ্বোধনী দিনে কপ-২৭ এর প্রেসিডেন্ট ও মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শুকরি বলেন, রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসনের ফলে খাদ্য ও জ্বালানির সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকাতে সবাইকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘শারম-আল-শেখে এটা আমাদের সবার অন্তর্নিহিত বিষয় হচ্ছে- আমরা যে চ্যালেঞ্জগুলোর সম্মুখীন হচ্ছি, তার ব্যাপকতা সম্পর্কে আমাদের সমঝোতা এবং এটিকে কাটিয়ে উঠতে দৃঢ় সংকল্প নিতে হবে।’
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত আবহাওয়া বিপর্যয় বন্যা ও ভূমিধসে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। পাকিস্তান এবং নাইজেরিয়ায় ব্যাপক বন্যা, আফ্রিকা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলে তীব্র খরা, ক্যারিবীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় এবং তিন মহাদেশজুড়ে নজিরবিহীন তাপপ্রবাহ বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, এই প্রান্তিকের বাইরে উষ্ণায়ন হলে তা পৃথিবীকে বসবাসের অযোগ্য একটি হটহাউসের দিকে ঠেলে দিতে পারে।