কৃষি সংবাদদাতা: কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের ফলে বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারে বিগত আমন, বোরো ও আউশ মৌসুমে কৃষকের ৩ হাজার ৫১ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের বরাতে জানা গেছে, বিগত আমন ও বোরো মৌসুম মিলিয়ে প্রায় ১৭ শতাংশ জমির ধান যান্ত্রিকভাবে সংগ্রহের আওতায় এসেছে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে দেশে কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ৪ শতাংশ ধান কাটা হয়েছিল। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমন মৌসুমে ১১ দশমিক ২২ ও বোরো মৌসুমে ২২ দশমিক ১৭ শতাংশ ধান যন্ত্র দ্বারা কাটা হয়েছে। এর ফলে মোট আবাদের প্রায় ১৭ শতাংশ যান্ত্রিকীকরণের আওতায় এসেছে।
এছাড়া বিগত আউশ মৌসুমে ২ লাখ হেক্টরের বেশি জমির ধান যান্ত্রিকভাবে কাটা হয়েছে। এর ফলে তিন মৌসুম মিলিয়ে ১৯ লাখ ৪২ হাজার হেক্টর জমির ধান যান্ত্রিকভাবে কাটার আওতায় এসেছে।
কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে তিন মৌসুমে ধান কাটায় সময় কম লাগার পাশাপাশি অপচয় কমেছে। ফলে তিন মৌসুমে কৃষকের প্রায় ৩ হাজার ৫১ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এর মধ্যে আউশ মৌসুমে ৩৩৭ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
দেশের দক্ষিণের জেলাগুলোর মধ্যে ভোলায় ৪৫ শতাংশ, পটুয়াখালীতে ৩০ শতাংশ আউশের জমি কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটার আওতায় এসেছে। উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, সিরাজগঞ্জ, নাটোরের ২০-৩২ শতাংশ আউশের জমি যান্ত্রিক কর্তনের আওতায় এসেছে।